,

বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান :: বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মাধবপুর প্রতিনিধি : মাধবপুরে বোরো ধান চাষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) এর উদ্ভাবিত ব্রি বঙ্গবন্ধু- ১০০, উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ করে লাভবান হয়েছে কৃষক। বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি প্রায় ত্রিশ মণ ধান পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি।
উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের চাষি সমিতি নামের একটি কৃষক সংগঠনের সহ সভাপতি কৃষক ফজলুর রহমান জানান, তাদের চাষি সমিতির প্রায় ৩০ জন কৃষক ১০০ ব্রি জাতের ধান চাষ করে আশানুরূপ ফলনও পাচ্ছেন।
জানা যায়, হবিগঞ্জ (নাগুরা) আঞ্চলিক অফিস থেকে বিনামূল্যে দেয়া বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান এবারই প্রথম চাষ করেন তারা। রোগ বালাই পোকা মাকড়েরর আক্রমণ যথেষ্টে কম তাই বিঘা প্রতি ত্রিশ মণ দরে ফলন হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি তাদের খরচ বাদে লাভ হয়েছে দ্বিগুন। ফলন দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও এই ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আগামীতেও ব্রি’র বঙ্গবন্ধু১০০ জাতের ধান চাষ করতে চান উপজেলার বিভিন্ন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার বোরো মৌশুমে উপজেলায় ১১হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও ১১হাজার ৫শ ৩০হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩২০ হেক্টর বেশী। এছাড়া উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৩ হাজার মেট্রিক টন সেখানে ফলন হয়েছে প্রায় ৫০হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, ব্রি উদ্ভাবিত বঙ্গবনধু ১০০ জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান মাধবপুর উপজেলায় এবারই প্রথম চাষ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়। এ ধান চাষে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের মাঝে প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়। রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ খুবই কম থাকায় ফলন হয়েছে হেক্টর প্রতি প্রায় সাড়ে সাত মেট্রিক টন।
তিনি আরও জানান, ব্রি’র ২৮ ও ২৯ জাতের ধান আবাদ করতে কৃষকদের আগাম সর্তক করা সত্তে¡ও অনেক কৃষক তা করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে বঙ্গবন্ধু ১০০ সহ ব্রি’র অন্যান্য জাতের ধান আবাদ করে কৃষকরা লাভের মুখ দেখেছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) এর আঞ্চলিক কাযার্লয় হবিগঞ্জ (নাগুরা) এর প্রধান কর্মকর্তা সিএসও ড. পার্থ সারথি বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্রি ১০০ হলো মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ব্রি এর উদ্ভাবিত শততম একটি উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি গুণ সম্পন্ন ধানের জাত। এর চাল চিকন, ভাত ঝরঝরে, খেতেও সুস্বাদু এবং হাই জিংক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। এই চালের ভাত খেলে শিশু সহ সকল বয়সী মানুষের শরীরে জিংকের চাহিদা পূরণ হবে এবং জিংকের অভাব জনিত বিভিন্ন প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পযার্য়ে কৃষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধানের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এখন বীজ সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর